শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ অপহরণ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২৫ ফেব্রæয়ারি) ভোর রাতে মহানগরীর হেঁতেমখা এলাকার একটি দুইতলা বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ একটি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- আরেফিন আহাদ খাঁন সানি (৪২) সে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন হেতেমখাঁ এলাকার জোয়াদুল আহাদ খানের ছেলে, একই থানার আজাদ আলীর ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ ফাহিম (২২) নুরুজ্জামানের ছেলে মো পারভেজ (২৭) ও আলম সরকারের ছেলে মো: সাব্বির সরকার (২৫)।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মিদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার আল মামুন। তিনি বলেন, গত রোববার (১২ ফেব্রæয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আরেফিন আহাদ খাঁন সানির বাড়িতে। অপহরণ কাজে সহযোগিতা করে সানির বন্ধু মোস্তাক আহম্মেদ ফাহিম। এরপর মুক্তিপণের টাকার জন্য তাদের টর্চারসেলে নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের উপর ব্যপক নির্যাতন চালায়। এরপর বিভিন্নভাবে অস্ত্রের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। দেলোয়ারের মোবাইল ফোন থেকে তার আত্মীয়দের অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। উপায় না পেয়ে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে মুক্তিপণ হিসাবে দেলোয়ার তাদের ৫০ হাজার টাকা দেয়। ছাড়া পেয়ে দেলোয়ার হোসেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৪টা দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল হেতেমখাঁ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের চার সদস্যকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।একই সময় সানির বাড়ির ছাদের টর্চারসেল থেকে বিপুল পরিমানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত তারা সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। অপহরণের পর সনির বাড়িতে নিয়ে তাদের তৈরি করা টর্চারসেলে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। পরে অপহরণ করা ব্যক্তির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে নগদ, বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপস এর মাধ্যমে মুক্তিপণের চাঁদা হিসেবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। তারা একটি সংঘবদ্ধ অহপরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অপহরণ ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় ডিবি’র এই কর্মকর্তা।